পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রান্তিক কৃষক আব্দুর রহিম ছয় বছর আগে বিউটি খাতুকে বিয়ে করেন। তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে প্রায় ঝগড়া হতো। সকালে আব্দুর রহিম স্ত্রীকে ভাত রান্না করতে বলেন। কিন্তু সময়মতো ভাত রান্না করতে না পারায় তিনি স্ত্রীকে মারধর করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিউটি খাতুন তার স্বামীর গোপনাঙ্গ চেপে ধরেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আব্দুর রহিম। এসময় নিহতের স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিউটি খাতুনকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আব্দুর রহিমের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) পাঠানো হবে।
নিহতের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে রোজিনা খাতুন জানান, বিউটি খাতুন আগেও বাবাকে হত্যাচেষ্টা করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
তবে অভিযুক্ত বিউটি খাতুন জানান, আমি হত্যা করিনি। আমাকে মারধরের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত নিহতের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।