ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডায় মাকসুদা সুলতানা ঝিনুক (২৩) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধূর লাশ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
ঝিনুকের স্বজনরা জানান, গত পাঁচ বছর আগে জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আইয়ুব আলী খানের ছেলে মোটর পার্টস ব্যবসায়ী সোহেল মিয়ার সাথে কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামের মো. ফারুক মিয়ার মেয়ে মাকসুদা সুলতানা ঝিনুকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।
দাম্পত্য জীবনে আরিয়ান নামে তিন বছরের এক ছেলে সন্তান আছে। ঝিনুকের পরিবারের লোকদের অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য ঝিনুককে নির্যাতন করতো স্বামী, শাশুড়িসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশও হয়েছে।
ঝিনুকের বড় বোন তানিয়া আক্তার অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে নির্যাতনের পর ঝিনুককে হত্যা করে তার লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ফেলে যায় স্বামীর বাড়ির লোকজন। তাদের জানানো হয়, ঝিনুক আত্মহত্যা করেছে। তানিয়া আরও বলেন, সোহেল মিয়া আগে একটা বিয়ে করেছিলো। ওই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সে ঝিনুককে বিয়ে করে। সম্প্রতি সে তালাক হওয়া বউয়ের সাথে পুনরায় সম্পর্কে জড়ায়। বিষয়টি ঝিনুক জেনে যাওয়ায় ও যৌতুকের দাবিতে ঝিনুককে প্রায়ই মারধোর করতো সোহেল, তার মা ও বোন। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ ইবনে আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্বজনের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।