লক্ষ্মীপুরে যৌতুক না পেয়ে হাত-পা বেঁধে রুমা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন ও মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় তার ননদ পাখি বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার মধ্য চররমনী মোহন গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় পুলিশ ভুক্তভোগী গৃহবধূকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী মো. হাসান পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে দুপুরে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন মামলা এবং গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত ননদ পাখি বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাসান পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ভিকটিম বাদী হয়ে স্বামী ও ননদসহ ৫ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে রাতভর রুমার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় স্বামী ও ননদ। একপর্যায়ে তারা রুমার মাথার সামনের চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। খবর পেয়ে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) মনির হোসেন সজিব ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করেন। পরে গৃহবধূকে চররমনী মোহন ইউনিয়নের মজুচৌধুরীর হাট এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখা হয়। সকালে পুলিশ তাকে সেখান থেকে নিয়ে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
রুমা আক্তার ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের পূর্ব দিশাপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে। ৩ বছর আগে লক্ষ্মীপুরের মধ্য চররমনি গ্রামে মো. কাঞ্চনের ছেলে হাসানের সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর থেকে মাঝে মাঝে যৌতুকের জন্য রুমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে নির্যাতন করতো।
রুমা আক্তার বলেন, হাসান আমার পরিবারের কাছ থেকে এর আগে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়েছে। এখন আবার ৩ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য মা-বাবার কাছে বলার জন্য আমাকে চাপ দেয়। টাকা চাইতে পারবো না জানালে আমার হাত-পা বেঁধে মারধর করে সামনের চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়।