রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জে ধারের টাকা ফেরত চাওয়ায় পুত্রবধূকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে খুন করেছিল শ্বশুর ও ননদ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় শ্বশুর ও ননদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (১২ এপ্রিল) রাত ১১টায় র্যাব-১৩ রংপুর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কমান্ডার আরাফাত হোসেন অধিনায়ক র্যাব-১৩ রংপুর।
জানা গেছে, মাহিগঞ্জের স্বপন মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম তার ননদকে ১০ হাজার টাকা ধার দেন। পরে গত ২৪ মার্চ ফেরত চায়। এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ শুরু হয়। গত ২৮ মার্চ এ নিয়ে তর্কের জেরে শ্বশুর আক্তার হোসেন ও ননদ আলেয়া বেগম গৃহবধূ সালমা বেগমের ঘরে ঢুকে মারধরের পর তার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
এদিকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এবং পরে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করায়। সেখানে পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গত ৩১ মার্চ মারা যায় সালমা।
কমান্ডার আরাফাত হোসেন জানান, এ ঘটনার পর শ্বশুর ও ননদসহ অন্যরা গা ঢাকা দেয়। পরে বুধবার মামলার প্রধান আসামি শ্বশুর আক্তার হোসেন ও দ্বিতীয় আসামি ননদ আলেয়া বেগমকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথার স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে মাহিগঞ্জ থানায় পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হবে।