ফটিকছড়ির সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির (৪৫) ও আনসার কর্মকর্তা মুহাম্মদ সায়েদুল ইসলাম(৫০) কে গৃহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ২১ জুন (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
এর আগে উপজেলার আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুর ইসলাম ও উপজেলা সদ্য বিদায়ী নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে জরিনা বেগম নামে ৪৭ বছর বয়সী এক মহিলা মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় আরও দুজনকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়। তারা হলেন, ফটিকছড়ির সুন্দরপুর ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার ইয়াকুব আলী(৬০) ও আরেক গৃহকর্মী শিখা শীল(৪৫)।
এজাহার থেকে জানা যায়, উপজেলা সদরে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ভবনে ভাড়া থাকতেন উপজেলা আনসার কমান্ডার সাইদুল ইসলাম, নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। ওই বাসায় রান্নার কাজ করতেন অভিযোগকারী নারী জরিনা। গত ২৭ মার্চ সাইদুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবির তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে গত ২২ মে ফটিকছড়ি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সময় নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। গত ২৮ এপ্রিল তাকে ফটিকছড়ি থেকে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় বদলি করা হয়।