গাজীপুরে দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তাদের মা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। পরে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার রাতে মহানগরীর পশ্চিম জয়দেবপুর মোক্তারটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো-কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার বড় আলমপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে তাসকিয়া জাহান তাবিহা (৪) ও তাসনিম জাহান বুশরা (সাত মাস)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার (অপরাধ) জাকির হাসান জানান, প্রায় তিনমাস আগে গাজীপুর মহানগরীর পশ্চিম জয়দেবপুর মোক্তারটেক এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে ভাড়ায় ওঠেন বিল্লাল হোসেন। ওই ভাড়া বাসায় থেকে বিল্লাল এলাকায় ভবন নির্মাণের সয়েল টেস্টের মিস্ত্রির কাজ করতেন। গত দুই দিন আগে তিনি গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা থেকে স্ত্রী এবং দুই শিশু সন্তানকে গাজীপুরের বাসায় নিয়ে আসেন।
তিনি আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর শিশুদের খাবার আনার জন্য দোকানে যায় বিল্লাল। এই ফাঁকে তার স্ত্রী ঘরের দরজা বন্ধ করে তার দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে নিজে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। স্বামী বিল্লাল হোসেন বাসায় ফিরে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করেন। তিনি কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালা ও আশপাশের লোকদের ডাক দিলে তারা জানালা দিয়ে দেখতে পান তিনজন বিছানায় পড়ে আছে। পরে তারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুই শিশুকে মৃত অবস্থায় এবং তাদের মাকে অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনজনকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দু’টিকে মৃত ঘোষণা করেন এবং তাদের মাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিল্লালের স্ত্রী লিজা বেগম মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিল বলে তার স্বামী বিল্লাল জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।