গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও এলাকায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে ভিক্টিমের মা বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতাররা হলেন- কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও পূর্ব পাড়া গ্রামের মো. মোস্তফা বেপারীর ছেলে রোমান বেপারী (২০), তরগাঁও এলাকার মো. মহসিন বেপারীর ছেলে মো. জুবায়ের বেপারী (২০), একই এলাকার মফিজ সরদারের ছেলে মো. মোরসালিন সরদার (২১), তরগাঁও এলাকার এহসান বেপারীর ছেলে মো. সাহাবুল হোসেন সাকিব (২২), তরগাঁও বোয়ালের টেক এলাকার মৃত সফুর উদ্দিনের ছেলে মাসুম শেখ (২১), একই এলাকার শামসুল হক ভূঁইয়ার ছেলে রাকিব হোসেন (২০) ও বাদল মোড়লের ছেলে মাহফুজুল হক (২০)।
মামলার মূল প্রধান আসামি উপজেলার করিহাতা ইউনিয়নের চর খামের গ্রামের আইন উদ্দিনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (২৮) পলাতক রয়েছে। কাপাসিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আফজাল হোসেন জানান, প্রবাসীর স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী নরসিংদী জেলার মনোহরদী এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করেন।
তিনি বলেন, আসামি সাখাওয়াত হোসেন ভিক্টিমের পূর্ব পরিচিত। মোবাইল ফোনেই প্রথম তাদের পরিচয় হয়। ১৬ ডিসেম্বর প্রবাসীর স্ত্রী শ্বশুর বাড়ি থেকে কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও এলাকায় মায়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। পরদিন ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাখাওয়াত হোসেন ভিক্টিমকে একটি মোবাইল ফোন দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাখাওয়াত অন্যান্য আসামিরা কৌশলে ভিক্টিমকে তরগাঁও এলাকার নবীপুর নর্দারটেকে নিয়ে যায় এবং সেখানে কড়ইগাছ তালায় তাকে ধর্ষণ করে। পরে আসামিরা গৃহবধূকে আটকে রেখে তার মায়ের মোবাইল নম্বরে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে।
এ খবর শুনে ভিক্টিমের মা কাপাসিয়া থানায় গিয়ে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে গৃহবধূকে উদ্ধার এবং মামলার সাত আসামিকে গ্রেফতার করে। তবে মূল আসামি সাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভিক্টিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন