রাজধানীতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেললেন দ্বিতীয় স্ত্রী নার্গিস। পরে নিজেই স্বামী তুষারকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। শনিবার (৩০ জুলাই) রাত ৯টার দিকে ওয়ারী ধোলাইখাল রায় সাহেব বাজার নাভানা টাওয়ারের পেছনে একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নার্গিস জানান, তিনি তুষারের দ্বিতীয় স্ত্রী। তার বড় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। গত মার্চ মাসে তার স্বামী আরও একটা বিয়ে করেন। সেই স্ত্রীকে নিয়ে কেরানীগঞ্জ এলাকায় থাকেন।
তিনি আরও বলেন, তার অনুমতি না নিয়ে তিনি আরেকটা বিয়ে করেছেন এবং আমার কাছে প্রথমে সেটা অস্বীকার করেছেন। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। আমার স্বামী যে চাকরি করেন সেখান থেকে বেতন পান ১০ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চলে না। আমাদেরও একটি ছয় মাস বয়সের মেয়ে আছে। একপর্যায়ে কিছুদিন আগে তিনি আমার কাছে বিয়ের কথা স্বীকার করেন।
নার্গিস বলেন, আজকে আমার স্বামী তুষার বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। এইসব ক্ষোভের কারণে ঘুমন্ত অবস্থায় ছোড়া দিয়ে আমার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলি। পরে স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করি। তিনি আরও বলেন, প্রচণ্ড জিদের কারণে আমি এই কাজ করেছি। তবে আমি অন্যায় করেছি।
ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্পের (ইনচার্জ) ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, হাসপাতালে তুষারের চিকিৎসা চলছে। তার সম্পূর্ণ পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। নার্গিস বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছে।
এদিকে ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন হাওলাদার জানান, হাসপাতাল থেকে খর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত জেনে এবং স্পট ঘুরে জানা যাবে ঘটনাটি কোন থানায় পড়েছে। তুষারের স্ত্রী পুলিশ হেফাজতে আছে। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।