কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ছেলের ছুরিকাঘাতে পয়ার উদ্দিন (৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত পয়ার উদ্দিনের বাড়ি উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে। ঘটনার পর থেকে তার অভিযুক্ত ছেলে আব্দুল জলিল পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন উর রশীদ বলেন, ‘অভিযুক্ত আব্দুল জলিল একাধিক বিয়ে করে। তার প্রথমদিকের দুই স্ত্রী ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছে। গত তিন মাস আগে নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দিয়ে তৃতীয় স্ত্রীও চলে যায়। সেই মামলায় আসামি হয়ে জামিন নিয়েছেন পয়ার উদ্দিন ও তার স্ত্রী জুলেখা খাতুন। ছেলে আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
ইউপি সদস্য আরও বলেন, এ নিয়ে তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে রফাদফার চেষ্টা করছিল আব্দুল জলিল। এজন্য বাবা পয়ার উদ্দিনকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল সে। এ নিয়ে রোববার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে বাবা-ছেলের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে পয়ার উদ্দিনকে আঘাত করে জলিল। এতে রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন পয়ার। এ ঘটনায় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী জুলেখা খাতুনও আঘাতপ্রাপ্ত হন। ঘটনার পরই পালিয়ে যায় জলিল। রাত ৯টার দিকে গুরুতর আহত পয়ার উদ্দিনকে রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথায় ও বাম হাতে আঘাতপ্রাপ্ত জুলেখা খাতুনকেও চিকিৎসা দেওয়া হয়। রাতেই বাড়িতে ফিরে রাজারহাট থানায় ছেলের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এজাহার দেন জুলেখা খাতুন। একদিন পর সোমবার দুপুরে রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পয়ার উদ্দিন মারা যান।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার বলেন, নিহতের স্ত্রী জুলেখা খাতুন বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত জলিল পলাতক থাকলেও তাকে গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে।