কুষ্টিয়া চিনি কলের স্টোর থেকে ৫২ টন চিনি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় মিলের স্টোর অফিসার ফরিদুল হককে গত বৃহস্পতিবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হলে ওই দিনই কুষ্টিয়া চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান খান চিনি গায়েবের ঘটনায় চার সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। আজ শনিবার তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুষ্টিয়া চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, কতৃপক্ষ গত মঙ্গলবার মিলের স্টক গণনার জন্য একটি কমিটি করে। এরপর বুধবার ওই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে। তাতে ১২১ টন চিনি থাকার কথা থাকলেও ৫২ টন ঘাটতি দেখা যায়। এরপর বৃহস্পতিবার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্বরত স্টোর অফিসার ফরিদুল হককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বিষয়টি ঊদ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেন।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান খান বলেন, বর্তমানে মিল বন্ধ। তারপরেও চিনির স্টক দেখার জন্য আমি দুই সদস্যের একটি কমিটি করি। কমিটি পরদিন আমাকে প্রতিবেদন জমা দিলে তাতে দেখা যায়, ৫২ টন চিনির হদিস মিলছে না। এরপর আরো যাচাই করে আমি বৃহস্পতিবার স্টোর অফিসার ফরিদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করি। প্রাথমিকভাবে তার অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় তদন্তে আমি মিলের মহাব্যবস্থাপককে প্রধান করে চার সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। আমরা বিষয়টি সদর দপ্তরকে জানিয়েছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যপারে স্টোর অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।