মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় এক যুবককে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তিনি মারা যান। নিহত মিথুন ভূইয়া (১৯) কুমিল্লা নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অভিযুক্ত মেরাজ ওই এলাকার রহিম মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনওয়ারুল আজিম।
এদিকে যুবক খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মেরাজ ও তার সহযোগী শরিফুল ইসলাম রাসেলকে শুক্রবার নগরীর প্রফেসর পাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত মেরাজের বাবা লিটন মিয়া জানান, গত বুধবার আমার ছেলে বাড়ির পাশে দাঁড়িয়েছে ছিলো। এ সময় মেরাজ হঠাৎ করে বড় একটি ছুরি নিয়ে এসে আমার ছেলেকে কোপাতে থাকে। এতে তার তিনটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়। ভর্তি করা হয় কুমিল্লা টাওয়ার হসপিটালের আইসিইউতে। শুক্রবার ভোরে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় আবার তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। পরে সকাল ১০ টায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মিথুন।
লিটন কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, শুধু মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় আমার ছেলেকে প্রাণ দিতে হলো। আমি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনওয়ারুল আজিম জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহোদয়ের নির্দেশনায় দুপুরে আসামি দুজনকে আটক করা হয়েছে। আটক মেরাজ ও রাসেল সম্পর্কে আপন মামা-ভাগ্নে।