কুমিল্লায় শ্বশুর-শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার সূবর্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ৭৫ বছরের বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী ৫৬ বছরের সফুরা বেগম। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের পুত্রবধূ শিউলি আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার তাদের মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, দশ বছর আগে পল্লী চিকিৎসক বাবুলের বড় ছেলে আমান উল্লাহ দিদারের সাথে বিয়ে হয় সদর দক্ষিণ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের শিউলি আক্তারের। শিউলি আমানউল্লাহ দম্পতির এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। স্বামী বিদেশে থাকার কারণে স্ত্রী শিউলি তার বাবার বাড়ির এক স্বজনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে যায়।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পল্লী চিকিৎসক বিল্লাল হোসেনের মেয়ে বিলকিস আক্তার জানান, শিউলি আক্তার পরকীয়ায় জড়িত। তার বাবা-মা বাধা দেয়ায় তাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। শিউলি গত রমজানে ঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। পরে তা স্বীকার করে। ডাকাতির সময় লুট করা স্বর্ণ ও নগদ টাকা ফিরিয়ে দেয়। এমন ঘটনা আর ঘটাবে না বলে কোরআন শপথ করে। গত রবিবার রাতে দুর্বৃত্তরা যখন বাড়ির ভেতরে আসে তখন শিউলি আক্তার দরজা খুলে দেয়। দুর্বৃত্তরা মা ও বাবাকে হাত-পা বেধে শ্বাসরোধে হত্যা করে চলে যায়।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জিয়াউল ইসলাম জীবন বলেন, নিহত পল্লী চিকিৎসক বিল্লাল খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তাদের সাথে গ্রামের কারো সাথে কোন বিরোধ ছিলো না।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনওয়ারুল আজিম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নিহত পল্লী চিকিৎসক বিল্লালের ছেলের বউ শিউলি আক্তারকে আটক করা হয়েছে। হত্যার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
উল্লেখ্য- কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার সূবর্ণপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী সফুরা বেগমের মরদেহ রবিবার মধ্য রাতে ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।