কিশোরগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারের পর রুপালী (১৮) নামে এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২২ জানুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার যশোদল এলাকায় অবস্থিত আল-হেরা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুপালী পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা গ্রামের সৌদি প্রবাসী পলিন মিয়ার স্ত্রী।
রুপালীর মামী শামসুন্নাহার জানান, প্রসব ব্যথা উঠলে রোববার বিকেলে রুপালীকে আল-হেরা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকের চিকিৎসক আক্তার নাহার জ্যোতি রুপালীকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন রুপালী।
রূপালীর মামা মোবারক হোসেন বলেন, সন্তান জন্ম নেওয়ার দীর্ঘক্ষণ পরও রুপালীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হচ্ছিল না। রাত ৯টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে অচেতন অবস্থায় বের করে আমাদেরদের না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান ক্লিনিকের লোকজন। ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, ঘটনার পরপরই আল-হেরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তালা দিয়ে পালিয়ে যান ক্লিনিকের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। তাই ঘটনাস্থলে গিয়েও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া অস্ত্রোপচার করা ডা. আক্তার নাহার জ্যোতির মোবাইলফোনে কল করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ। তিনি বলেন, সেখানে গিয়ে হাসপাতালের দায়িত্বশীল লোকজনকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় মামলার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, ওই গৃহবধূর নবজাতক শঙ্কামুক্ত আছে। তাকে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রুপালীর ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।