English

23 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
- Advertisement -

কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো মেজর পরিচয়ে প্রতারণা করতেন মুক্তা

- Advertisements -

কখনো হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট, আবার কখনো ডিজিএফআইয়ের মেজর পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন মুক্তা পারভিন (৩১) ও তার চক্রের সদস্যরা। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একজনের কাছ থেকেই তারা হাতিয়ে নিয়েছেন ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। তবে এত কিছু করেও পার পাননি, মুক্তা ধরা পড়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাব-১০-এর অধিনায়ক, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে রাজশাহীর বোয়ালিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র নিজেদের কখনো হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট, আবার কখনো ডিজিএফআইয়ের মেজর পরিচয় দিয়ে সহজ-সরল ও নিরীহ লোকজনদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।

মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, চক্রটি রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম এলাকার শেখ আব্দুল্লাহ (৩৭) নামের একজনের কাছ থেকে সরকারি দপ্তরে চাকরি পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শেখ আব্দুল্লাহ বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন।

তিনি বলেন, পরে শেখ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতা মুক্তা পারভিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে চক্রটির আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান।

র‌্যাব-১০-এর অধিনায়ক বলেন, ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ এর একটি দল প্রতারক চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্তশুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ীর সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুক্তা পারভিনকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার পারভিন হাইকোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতা বলে স্বীকার করেছেন বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন