ছয় দিনের ব্যবধানে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আবারও স্বর্ণের চালান জব্দ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আবুধাবি থেকে ছেড়ে আসা বিমানের একটি ফ্লাইটের যাত্রী ময়নুল ইসলামের (২২) সঙ্গে থাকা এক কেজি একশ ৬০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণের চালানসহ তাকে আটক করা হয়েছে।
আবুধাবি থেকে ছেড়ে আসা বিমানের ফ্লাইটটি সকাল ১০টা ২০মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সে বিমানে আসেন ময়নুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের এবং কাস্টমস বিভাগীয় আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
বিমানবন্দর কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, সকালে আবুধাবি থেকে আসা ফ্লাইট যাত্রী ময়নুল ইসলামকে সন্দেহ হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করে বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তার সঙ্গে কোনো স্বর্ণ বা ঘোষণা যোগ্য কোনো পণ্য আছে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। তার দেহ তল্লাশি করা হয়। পরে সঙ্গে থাকা লাগেজের ট্রলি ব্যাগের সঙ্গে কৌশলে আনা স্বর্ণের সন্ধান পাওয়া যায়। ওই যাত্রী ১ কেজি একশ ৬০ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে রডের আকৃতি বানিয়ে রূপালি প্রলেপ দিয়ে ট্রলি ব্যাগের রড হিসেবে ব্যবহার করছিলেন।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মো. আল আমিন বলেন, ‘লাগেজ ট্রলিতে রডের যে ফ্রেম থাকে লাগেজ মজবুত রাখার জন্য। সেই রড খুলে সেখানে স্বর্ণ দিয়ে রডের মতো বানিয়ে বহন করা হচ্ছিল। ’ তিনি আরো বলেন, ‘উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন ১ কেজি ১৬০ গ্রাম যার বাজার মূল্য প্রায় ৮০ লাখ টাকা। ’ আটকৃত ময়নুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের এবং কাস্টমস বিভাগীয় আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।
এর আগে গত ২৭ মে সকাল ৭টায় দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে একই পরিমাণ স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। মো. আলী আহমদ নামে এক যাত্রী একটি নেবুলাইজার মেশিনের ভেতরে করে কৌশলে স্বর্ণের ১১টি পাত বহন করছিলেন। সেই পাতগুলোও রূপালি প্রলেপ দেওয়া ছিল।