কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে মূল হোতা কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানসহ তিন শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আটকৃতরা হলেন ভুরুঙ্গামারী উপজেলার নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান এবং তার বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক যোবায়ের হোসেন ও রাসেল মিয়া।
মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে মধ্যরাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম ভূরুঙ্গামারী থানা ও ইউএনও কার্যালয়ে চার ঘণ্টার রুদ্ধদার বৈঠক শেষে এ মামলা দায়ের করা হয়। রাতে কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে এ বিষয়ে কোন কথা বলেননি দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভূরুঙ্গামারী সদরের ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটে। সোমবার ইংরেজি প্রথম পত্র এবং মঙ্গলবার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা শুরুর আগেই কেন্দ্রের বাইরে প্রশ্নের অনুলিপি দেখতে পাওয়া যায়। তবে জানা যাচ্ছিলনা কে বা কারা ঘটনায় জড়িত। ঘটনা জানাজানি হলে রহস্য উদঘাটনে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম, বোর্ড সচিব অধ্যাপক মো. জহির উদ্দিন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা ভূরুঙ্গামারীতে যান।
এর আগে সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান ও একই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল এবং ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জোবায়েরকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক করে থানায় নেয়া হয়। রাত বারোটায় তাদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত জেনে থানায় মামলা দায়ের করেন।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের তিনজনকে রাতেই আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়।এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় মূল হোতা কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমানসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে আরো এ ঘটনায় জড়িত পলাতকদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বুধবার গ্রেফতারকৃতদের কুড়িগ্রামে জেল হাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে।