আরেক দফা পেছালো সিলেট মুরারীচাঁদ কলেজ (এমসি) ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার চার্জ গঠনের তারিখ। বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী তারিখ ১২ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার ১০ জানুয়ারি সকালে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মো. মোহিতুল হকের আদালত এ সিদ্ধান্ত নেন বলে নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাঈদা খানম।
তিনি জানান,আদালতে আসামিপক্ষ আরও দুদিন সময় বাড়ানোর আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ১২ জানুয়ারি চার্জ গঠনের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
তিনি আরও জানান, আগামী ১২ তারিখ পর্যন্ত চার্জশিট পর্যালোনার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে, এদিন নারাজি না দিলে আদালত চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করবেন।
গত ৩ জানুয়ারি (রোববার) সিলেট মুরারী চাঁদ (এমসি) এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ থাকলে বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ ১০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারত করেন আদালত।
এদিকে, রোববার আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতে জামিন প্রার্থণা করেন এই মামলার অভিযোগপত্রভূক্ত আসামি আসামি তারেকুল ইসলাম তারেকের। তবে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আজ রোববার নির্ধারিত তারিখে এই মামলার অভিযোগপত্রভূক্ত ৮ আসামিকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করে পুলিশ। গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযোগ করে আলোড়ন তোলা এই মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্বামীকে নিয়ে শাহপরান মাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন নির্যাতনের শিকার তরুণী (২৫)। ফেরার সময় তারা গাড়ি থামিয়েছিলেন নগরের টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে। স্ত্রীকে প্রাইভেটকারে রেখে স্বামী পাশ্ববর্তী দোকানে গিয়েছিলেন। ওইসময় প্রাইভেটকারটি ঘিরে ধরে কয়েকজন তরুণ।
প্রাইভেটকারসহ ওই দম্পতিকে তারা নিয়ে যায় বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ভেতরে। সেখানে স্বামীর সামনেই গাড়ির ভেতর সংঘবদ্ধভাবে তরুণীকে ধর্ষণ করে ৬ তরুণ। পরে তাদের মারধর করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় ধর্ষকরা। আটকে রাখে তাদের গাড়িও।
ঘটনার রাতেই নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে নগরের শাহপরান থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।