নিহত সিনহা মো. রাশেদ খানের সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে গ্রামের বাড়ি বরগুনার বামনা উপজেলায় গত শনিবার মানববন্ধন চলাকালীন বামনা থানার ওসি ইলিয়াস আলীর হাতে লাঞ্ছিত হয় একই থানার একজন এএসআই। এএসআইকে ওসির চড় দেওয়ার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হয়। এ ঘটনায় বরগুনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মফিজুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা পুলিশ। তদন্তদলের অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী সার্কেল) রবিউল হাসান ও বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (অপরাধ) মো. সোহেল আহম্মেদ।
তিন দিন তদন্ত শেষে ওসি ইলিয়াস আলী দোষী সাব্যস্ত হলে আজ মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) তাকে বামনা থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
তদন্তদলের প্রধান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মফিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মানববন্ধন চলাকালীন ওসির হাতে এএসআই লাঞ্ছিত হওয়া ঘটনাটি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ওই ওসিকে বামনা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে নিহত (অব.) মেজর সিনহার সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বামনায় তাঁর মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করে সহপাঠী ও স্থানীয়রা। এ সময় বামনা থানার ওসি ইলিয়াস আলী তালুকদার এসে মানবন্ধনটিকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করেন। এ সময় আগেই অ্যাকশনে না-যাওয়ায় তাঁর সহকর্মী এক এএসআইকে তিনি চড় মারেন ও গালিগালাজ করেন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন