কক্সবাজারের উখিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। নিহত রওশন আরা কুতুপালং পশ্চিম পাড়া মোহাম্মদ হোসেনের মেয়ে।
এর আগে ঘটনার দিন জামায়েত নেতাসহ তিনজন নিহত হয়েছিলেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৬ এপ্রিল কুতুপালংয়ে প্রতিপক্ষ নাজির হোসেন গংদের হামলায় তাদের পরিবারের দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তারা হলেন, আব্দুল মান্নান ও শাহীনা বেগম।
এ ঘটনায় রওশন আরা বেগমও গুরুতর আহত হন। তখন তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুদিন পর রওশন আরা মারা যান।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, কুতুপালংয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহতের পর হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উখিয়ার কুতুপালং পশ্চিম পাড়ার একই গ্রামের আপন দুই ভাইয়ের ছেলে নাজির হোসেন ও মোহাম্মদ হোসেন গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটার সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
সবশেষ রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন জমির সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দা, কিরিচ ও কোদাল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এতে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪০), শাহীনা বেগম (৩০) ও আব্দুল মান্নান (৩৫) নিহত হন।
এরমধ্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন উখিয়া রাজাপালং ৯ নম্বর ওয়ার্ড জামায়েতের আমির ও কুতুপালং জামে মসজিদের খতিব।