মিরসরাইয়ে টেলিভিশন দেখতে যাওয়ার পর ৭ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন বিকাল সাড়ে ৪টা উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চিনকির আস্তানা এলাকার শফী সওদাগর বাড়ীতে এঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক দুলাল ড্রাইভার পলাতক রয়েছেন।
দুলাল ওই বাড়ীর মৃত ফকির আহমদের ছেলে। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই শিশুটির পরিবার চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা। তারা স্ব পরিবারে বিগত ৩০ বছর যাবৎ বারইয়ারহাট পৌরসভায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
শিশুটির চাচা বলেন, আমার বড় ভাই ও তার পরিবার সহ আমরা দুলাল ড্রাইভারের বাড়িতে টিনসেট ঘরে ভাড়া থাকি। ঈদের দিন সোমবার বিকেলে দুলাল ড্রাইভার প্রথমে আমার ভাতিজিকে চকোলেট খাওয়ার জন্য ডাকে। তখন সে যায়নি। পরবর্তীতে আমার ভাতিজি যখন টেলিভিশন দেখার জন্য তাদের ঘরে যায় তখন দুলাল ড্রাইভার তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে সে চিত্কার দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে চলে আসে।
এসময় দুলাল ড্রাইভারের ঘরে কেউ ছিলো না। রাতে আমার ভাবীকে ভাতিজী সবকিছু খুলে বলে। মঙ্গলবার সকালে আমার ভাবী সহ আমরা জোরারগঞ্জ থানায় গেলে সেখান থেকে পুলিশ আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে আমাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিত্সক ডা. বাঁধন দাশ বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ৭বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তার পরিবার নিয়ে আসে। তাকে প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষে ধর্ষণের বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।