আরিফুল ইসলাম ইউটিউব দেখে ব্যাংক বুথ লুটের পরিকল্পনা করেন। এ কারণে নিরাপত্তাকর্মী হাসান মাহমুদকে খুন করেন তিনি। তবে এটিএম বুথ ভাঙতে না পারায় সেখান থেকে পালিয়ে যান।
গত ১০ এপ্রিল রাজধানীর শাহজাদপুর মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ।
এর আগে গতকাল রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আরিফুলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গুলশান বিভাগ। এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ও বুথ ভাঙার বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হারুন অর রশীদ বলেন, ব্যবসায় লসে ১৪-১৫ লাখ টাকা ঋণ ছিল আরিফুলের। ঋণের কারণে পরিবার নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। পরে নিজের কিডনি বিক্রি করতে লিফলেটও বিলি করেন আরিফুল। আত্মগোপনে থাকার সময় ইউটিউব দেখে বুথ লুটের পরিকল্পনা করেন। এটিএম বুথ লুট করার উদ্দেশে বুথের নিরাপত্তাকর্মী বয়োবৃদ্ধ হাসান মাহমুদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কুপিয়ে হত্যা করেন আরিফুল ইসলাম।
নিহত সিকিউরিটি গার্ড হাসান মাহমুদের ভাই মাহফুজুর রহমান রুমেল হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে গুলশান থানায় মামলা করেন।
আরিফুল ইসলামের বরাত দিয়ে ডিবি প্রধান জানিয়েছেন, এটিএম বুথ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্বাধীন বাংলা সুপার মার্কেট থেকে হাতুড়ি, হ্যামার, ছেনি, মিরপুর পল্লবী মিল্লাত ক্যাম্প মোড় থেকে চাপাতি, সাবল, চাকু ও মিরপুর স্টেডিয়ামের ফুটপাত থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একটি জার্সি কেনেন।
এরপর নিরিবিলি এলাকা এমন এটিম বুথের অবস্থান খুঁজতে থাকেন। পরে শাহজাদপুর, ৩০/বি, মাইশা চৌধুরী টাওয়ার, মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথ নিরিবিলি মনে হওয়ায় এই এটিএম বুথ লুটের সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী ১০ এপ্রিল ৫টা ১৩ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে প্রবেশের সময় এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী হাসান মাহমুদের বাধার সম্মুখীন হওয়ায় তাকে চাপাতি দিয়ে গলায় কুপিয়ে হত্যা করে হাতুড়ি, হ্যামার, ছেনি, সাবল ও চাপাতি দিয়ে এটিম বুথ ভাঙার চেষ্টা করেন। ১০-১২ মিনিট চেষ্টা করে বুথ ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।