দুবাইয়ে বাংলাদেশের আলোচিত সোনা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের গ্রেফতার হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে দুবাইয়ের গোল্ড সুক এলাকায় আরাভ খানের সোনার দোকান ‘আরাভ জুয়েলার্স’র শাটার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দোকান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সব স্বর্ণালঙ্কার। রবিউল ওরফে আরাভ খান পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে জানিয়েছেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারির পর দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। খবরটি তিনি পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পেয়েছেন বলে জানান।
পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর রহমান বলেন, আরাভ খানের গ্রেফতারের বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। অফিশিয়ালি বা আনঅফিশিয়ালি কোনো তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, আরাভ খানকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। এ ধরনের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
পুলিশ সদরদপ্তরের বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, আরাভ খানকে দুবাই পুলিশ গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তার সঙ্গে দুবাইয়ের কে বা কারা জড়িত সে তথ্যও উদ্ধার করা হয়েছে। আরাভের গ্রেফতারের খবর বাংলাদেশে দেওয়ার পর পুলিশ হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ আরাভকে দেশে ফেরত আনতে কাজ করছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, আরাভের গ্রেফতারের খবর জানানোর পর গোপালগঞ্জে আরাভের (রবিউল ইসলামের) স্থায়ী ঠিকানায় পাঠানো আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা ইংরেজি থেকে আরবি ভাষায় রূপান্তর করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ হত্যা মামলার যাবতীয় কাগজপত্র আরবি ভাষায় রূপান্তর করে পুলিশ সদরদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে জানতে পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ডিবিপ্রধানসহ একাধিক কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠানো হলেও তাদের কেউ কোনো রিপ্লাই দেননি।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে বহুল আলোচিত দুবাইয়ের আরাভ জুয়েলারি শপ। সোমবার বিকেলে শপটি থেকে হঠাৎই সব স্বর্ণালঙ্কার উধাও হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে শপটিতে তালা ঝুলতে দেখা যায়।