হত্যা মামলার আসামি দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউলই ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (১৫ মার্চ) রাতে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশিদ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এই পলাতক আসামি রবিউলের (আরাভ খান) গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। সে বিভিন্ন সময় নাম পরিবর্তন করেছেন। কখনও সোহাগ, কখনও শেখ হৃদয় নামে পরিচয় দিতেন। আরাভ খান মূলত ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ ইন্সপেক্টর মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি। আমরা তাকে খুঁজছিলাম। ইতোমধ্যে মামলাটি তদন্ত শেষে তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিটও দিয়েছে ডিবি। ওই যুবকই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর আরাভ পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে চলে যাওয়ায় তাকে আমরা খুঁজে পাইনি। পরে আমরা দেখলাম রবিউল ইসলাম আপন নামের একজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তারপর তাকে জেলখানায় নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা একটা ফেইক ঘটনা (আত্মসমর্পণ) ছিল। যে ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করেছেন, তিনি আসলে ভুয়া। আসল আপনের সঙ্গে তার একটা যোগসূত্র বা কমিটমেন্ট হয়েছিল।
হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখলাম যে আসলে এই আপন আসল আপন না। ওই আপন অবৈধভাবে ইন্ডিয়াতে চলে গেছেন। আজ (বুধবার) জানলাম দুবাইয়ে বড় স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে যাচ্ছে ওই ব্যক্তি। যে দোকানের লোগোতেই খরচ করা হয়েছে ৪১ কোটি টাকা। যে লোক আমাদের পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে, সেই খুনির দোকান উদ্বোধন করতে বাংলাদেশ থেকে হিরো আলম ও সাকিব আল হাসানসহ অনেকে গিয়েছেন, এটা দুঃখজনক। আমরা এর খোঁজ-খবর নিচ্ছি। ইন্টারপোলের মাধ্যমে এ খুনিকে গ্রেপ্তারের জন্য অনুরোধ করব। তাকে যেন আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আমরা সে ব্যবস্থা করব।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই বনানীর একটি বাসায় গিয়ে খুন হন পরিদর্শক মামুন ইমরান খান। পরদিন তার লাশ বস্তায় ভরে গাজীপুরের উলুখোলার একটি জঙ্গলে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা খুনের মামলায় পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান আবারো আলোচনায় আসেন দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামে একটি স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনের পর। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি হাজির করেছেন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সেলিব্রিটিদের, যে তালিকায় আছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, ও আলোচিত কমেডিয়ান হিরো আলম।