জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটে আন্ত:জেলা ট্রান্সফর্মার চোর দলের সক্রিয় সাত সদস্য গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
তারা হলেন, জেলার কালাই উপজেলার বিনইন গ্রামের খয়বর রহমানের ছেলে ছাইদুর রহমান (৪৫), একই উপজেলার বেগুনগ্রামের দিলবর ফকিরের ছেলে আব্দুল জলিল (৩৫), ক্ষেতলাল উপজেলার বাখেড়া কোমলগাড়ী গ্রামের অপির শাহ এর শাহ আলম (২৫), জয়পুরহাট সদর উপজেলার কয়তাহার মোল্লাপাড়ার আব্দুল বারিকের ছেলে ফারুক হোসেন (২৬), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুইয়াগাড়ী গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল বারিক (৪০), একই উপজেলার গুইয়াগাড়ী গ্রামের মৃত ফারুক সোনার ছেলের মিস্টন সোনার (২৫) এবং বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার সোনারপাড়ার ইলিয়াস প্রামানিক মোত্তালেব (২৩) বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত মাসের ১৯ আগস্ট শুক্রবার রাতে জয়পুরহাট সদর উপজেলার কয়তাহার গ্রামের দীঘির পুকুর মাঠে থেকে ০৩ টি ট্রান্সফর্মারের ভিতরে থাকা তামার কয়েলের তার অজ্ঞাতনামা চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন শনিবারে জয়পুরহাট থানায় এমদাদুল হক বাদী হয়ে একটা মামলা দায়ের করে। ওই মামলার ২৭ আগস্ট শনিবার তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জয়পুরহাট থানার পুলিশ আসামী ছাইদুর রহমানকে তার বাড়ী হইতে ট্রান্সফর্মার চুরির কাজে ব্যবহৃত রশি, হেক্সো ব্লেড ও বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রপাতিসহ গ্রেফতার করা হয়।
ওই আসামীর তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামী আব্দুল জলিল ও আব্দুল বারিককে স্ব স্ব এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চলতি মাসের ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জয়পুরহাট থানার পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা যৌথ অভিযান করে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার সোনারপাড়া এলাকায় মোত্তালেবের ভাঙ্গারির দোকান হতে ০৩ টি ট্রান্সফর্মারের কয়েলের ১৬ কেজি তামার তার ও ০৫ টি চোরাই বৈদ্যুতিক মিটার উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয় এবং উদ্ধারকৃত তামার তার ও বৈদ্যুতিক মিটার সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত মাসে ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবারে ট্রান্সফর্মার চুরির কাজে ব্যবহৃত ০৯ টি লাইলনের রশি, ০২ টি হেক্সো ব্লেড, ০৩টি সুইচ বোর্ড, বিভিন্ন ধরণের বৈদ্যুতিক তার, ০৩টি লোহার রড, ০১টি লোহার শাবল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীগণ আন্তঃজেলা ট্রান্সফর্মার চোর দলের সক্রিয় সদস্য। তারা ইতিপূর্বে জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রান্সফর্মারের কয়েলের তার চুরি করে বগুড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করেছে মর্মে আসামীদের নিকট হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়।
এ ঘটনার সাথে আরো ৪/৫ জন আসামী জড়িত ও পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামীগণের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা অব্যাহত আছে। আসামীদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, ও মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) তরিকুল ইসলাম, ফারজানা হোসেন, জেলা ডিবি পুলিশের ওসি সাহেদ আল মামুন, জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আলমগীর জাহানসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদবীর পুলিশ সদস্যগণ।