ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ধর্ষণের মামলায় রায়হান ভূইয়া (২৪) নামে এক যুবককে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী এক নারী আখাউড়া থানায় মামলা দিলে রাতেই রায়হানকে আটক করে থানা পুলিশ। তিনি উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের মো. ইয়ার হোসেন ভূইয়ার ছেলে। রবিবার দুপুরে ওই নারীকে ধর্ষণ করে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। ওই নারী দুই সন্তানের জননী।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর মা বিগত দেড় বছর যাবৎ পাশের মো. ইয়ার হোসেন ভূইয়ার বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। মাঝে মধ্যে তার মা অসুস্থ হলে মায়ের পরিবর্তে সে কাজ করে দিয়ে আসত।
এক বছর আগে একদিন ওই বাড়িতে কাজ করতে গেলে ইয়ার হোসেনের ছেলে রায়হান ভূইয়া ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে জানালে তার শিশু সন্তানকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এরপর থেকে সে ওই বাড়িতে কাজ করতে গেলে রায়হান তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করতো।
রবিবার দুপুরে ওই নারী পার্শ্ববর্তী তার মামার বাড়ির টিউবওয়েলে গোসল করতে যায়। এসময় রায়হান ভূইয়া টিউবওয়েলের কাছে আসে। রায়হানের হাবভাব দেখে ওই নারী ভয়ে তার মামার ঘরে চলে যায়। তখন বাড়িতে কেউ ছিল না। এসময় রায়হান ওই ঘরে প্রবেশ করে ওই নারীকে আবারও ধর্ষণ করে। পরে ঘটনা কাউকে জানালে বা মামলা করলে তার এবং তার ছেলেমেয়ের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ভিকটেমের অভিযোগ পেয়ে রায়হান ভূইয়াকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।