মেহেরপুরে স্ত্রীকে ক্ষুর দিয়ে জবাই করে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে স্বামী। আর জীবন বাঁচাতে ইট দিয়ে আঘাত করে স্বামীর মাথা ফাটিয়েছেন স্ত্রী। এতে আহত হয়ে দুজনই এখন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আহতরা হলেন-রোজিনা ও তার স্বামী সাইফুল। স্ত্রী রোজিনার দাবি, তার স্বামী মাদকসেবী। আর স্বামী সাইফুলের অভিযোগ, রোজিনা পরকীয়ায় লিপ্ত। এ কারণেই দুজনের বিবাদ।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৮ মার্চ) গভীর রাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে।
আহত স্ত্রী রোজিনা খাতুনের অভিযোগ, সাইফুল ইসলাম মাদকসেবী। তিনি তাকে অত্যাচার করেন। ২০২০ সালের প্রথমে তিনি সাইফুলকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর থেকে বাবার বাড়িতেই আছেন। আট মাস আগে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে তাকে মারধর করে ও তার বাড়িতে নিয়ে যেতে চান। টের পেয়ে গ্রামের লোকজন সালিশ করে তাদের আবার বিয়ে দিয়ে দেন। এরপর থেকে তিনি বাবার বাড়িতেই ছিলেন।
সোমবার রাতে রোজিনাকে ধারালো ক্ষুর দিয়ে জবাই করার চেষ্টা করেন সাইফুল। এতে তার হাত জখম হয়। আত্মরক্ষার্থে রোজিনা পাল্টা ইট ছুড়ে মারেন। এতে সাইফুলের মাথা ফেটে যায়। পরে রোজিনার চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।
রোজিনাকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর সাইফুলকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। সংবাদ পেয়ে বামন্দী ক্যাম্প পুলিশের একটি টিম সাইফুলকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
সাইফুল হোসেনের মামা আব্দুস সালাম জানান, রোজিনা প্রবাসী এক ছেলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। এতে বারণ করায় রোজিনা ও তার বাড়ির লোকজন সাইফুলকে নির্যাতন করে মুখে বিষ ঢেলে দেন।
বর্তমানে দুজনই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন এবং শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান জানান, থানায় উভয়পক্ষের কেউই এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।