লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে সহিদ হোসেনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্ত্রী আমেনা বেগমের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদলত। একই সঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আমেনা বামনী ইউনিয়নের বামনী গ্রামে মমিনুল হকের মেয়ে। তার স্বামীর বাড়িও একই এলাকায়।
এজাহার সূত্র জানায়, জীবিকার তাগিদে শহীদ জীবনের দীর্ঘ সময় প্রবাসে ছিলেন। অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রবাস জীবন ছেড়ে তিনি দেশে চলে আসেন। এর পর থেকে আমেনার সঙ্গে তার পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়। ২০২১ সালের ২২ মার্চ রাতের খাবার শেষে তারা ঘুমাতে যায়। পরদিন সকালে আমেনার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘরে ঢুকে শহীদকে মৃত দেখতে পায়।
পরে স্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। গোসল করানোর সময় শরীরে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবদুল আলী খোকন বাদী হয়ে রায়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ করে।
২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসে। এতে শহীদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। পারিবারিক কলহের জের ধরে মুখ চেপে ধরে আমেনা শহীদকে হত্যা করে। দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আমেনার বিরুদ্ধে রায় প্রদান করে।