বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও মুঠোফোনে ওই ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারন মামলার একমাত্র আসামি মুরাদুজ্জামান মকুলকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মুরাদুজ্জামান মকুল উপজেলার জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক এবং শৈলমারি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। তিনি বর্তমানে বগুড়া জেলা কারাগারে রয়েছেন।
শুক্রবার সকালের দিকে উপজেলার জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লায়লা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিধিমোতাবেক ২৪ মে অনুষ্ঠিত কলেজ পরিচালনা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পরবর্তীতে আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে বিধি অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে। ‘
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুনট পৌর এলাকার দক্ষিণ অফিসার পাড়ায় এক প্রভাষক দম্পতির বাসা ভাড়া নিয়ে মুরাদুজ্জামান সপরিবারে বসবাস করতেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে একই বাসায় বাস করা ওই প্রভাষক দম্পতির মেয়েকে কৌশলে জড়িয়ে ধরে মুঠোফোনে ছবি তোলেন মুরাদ।
সেই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মুরাদুজ্জামান ৩ মার্চ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এরপর ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মুরাদুজ্জামান একই কৌশলে ওই ছাত্রীকে আরো কয়েক দফা ধর্ষণ এবং মুঠোফোনে ওই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ১২ মে মুরাদুজ্জামান মকুলের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই মুরাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।