সিলেটের গোলাপগঞ্জে মন্দিরে এক তরুণীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পুরোহিতের বিরুদ্ধে। তিনি এর আগেও কয়েকজন নারীকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত পুরোহিতের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের কালাকোনা গ্রামে শ্রী শ্রী গিরিধারী জিউ মন্দিরের বৈষ্ণবের (পুরোহিত) দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এলাকাবাসী তাকে বাবাজি বলে ডাকতেন।
পুরোহিতকে বৃহস্পতিবারই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে শুক্রবার পর্যন্ত তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এজাহারে তরুণী অভিযোগ করেন, বুধবার সন্ধ্যায় মন্দিরের পাশের বাড়ির এক তরুণী ওই মন্দিরে যান। ওই রাতে পুরোহিত ও তার সহযোগী তরুণীকে জরুরি কাজের কথা বলে মন্দিরের পাশে নিয়ে যান। সেখানে তার মুখে চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারা। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশ এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
জমি সংক্রান্ত বিরোধ থেকে পুরোহিতকে ফাঁসানোর অভিযোগ যারা তুলেছেন তাদের কয়েকজন জানান, ২০১৯ সাল থেকে এই মন্দিরের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই মন্দিরের জায়গা তার দাবি করে মন্দির নির্মাণ কাজেও বাধা দেন। এর পেছনে প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতা সম্পৃক্ত বলেও অভিযোগ তাদের।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হাসান জানান, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুইজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার মামলা করেন বাঘা এলাকার এক তরুণী। মামলার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে এরইমধ্যে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যজন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
মন্দিরের জমি সংক্রান্ত বিরোধ প্রসঙ্গে তিনি জানান, জমি নিয়ে বিরোধের কথা আমিও শুনেছি। তবে ওই পুরোহিতের চারিত্রিক সমস্যা আছে বলেও এলাকার অনেকে জানিয়েছেন। আরও কয়েকজন নারীকে তিনি কুপ্রস্তাব দেন। এমনকি যে তরুণী মামলা করেছেন তার বড় বোনকেও ওই পুরোহিত কুপ্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। সবকিছুই আমরা তদন্ত করে দেখছি।