যশোরের অভয়নগর উপজেলার চাপাতলা গ্রামে শ্বাসরোধে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে স্বামী জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবু (৩৫) তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পুলিশ জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহতরা হলেন- জহিরুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বীথি (৩২) এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া (৯) ও সাফিয়া (২)।
জহিরুল যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মশিয়ার রহমান বিশ্বাসের ছেলে।
পুলিশ জানায়, আজ শুক্রবার দুপুরে জহিরুল ইসলাম স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বীথি এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া ও সাফিয়াকে নিয়ে অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। দুপুর দেড়টার একটু পর তাঁরা উপজেলার ভৈরব নদের নগর খেয়াঘাট পার হয়ে চাঁপাতলা গ্রামে পৌঁছেন।
আগে থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছিল। চাঁপাতলা গ্রামের বাগানের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় জহিরুল ইসলাম স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ বাগানের মধ্যে ফেলে রেখে তিনি বাড়িতে চলে যান।
বাড়ি গিয়ে তিনি পরিবারের সদস্যদের কাছে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার কথা জানান। বিকেল ৫টার দিকে তার পরিবারের সদস্যরা যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফাঁড়ি থেকে পুলিশ গিয়ে জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। রাত ৮টা পর্যন্ত মরদেহ ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিল।
বসুন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, জহিরুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বীথি এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া ও সাফিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভয়নগর থানা পুলিশের হাতে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাত ৮টার দিকে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান বলেন, স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বীথি এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া ও সাফিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন জহিরুল ইসলাম। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছি।