বগুড়া শিবগঞ্জের বেলতলী হাফিজিয়া মাদ্রাসার মক্তব শ্রেণীর ছাত্র স্বাধীন (৭) কে শ্বাসরোধে হত্যাকাণ্ডের দ্বায় স্বীকার করে ওই মাদ্রাসার অপর তিন ছাত্র সুমন ইসলাম (১৬), রুহুল আমিন (১৬) এবং ওমর ফারুক (১৫) আজ ৬ জুলাই অপরাহ্ণে শিবগঞ্জ উপজেলার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।
সিআইডি বগুড়া জেলার বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্ম্দ কাউছার শিকদারের প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্তের মাধ্যমে ওই তিনজনকে গতকাল ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর মামলার তদন্তকারী অফিসার সিআইডি বগুড়া জেলার পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার ফুয়াদ রুহানি’র নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম নিজ নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে গ্রহণ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদকালে ওই তিনজন জানায় যে, তাদের মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতে একেবারেই ইচ্ছে হয় না। তারা জানায় এমন একটি কাজ করতে হবে যাতে মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়। এমন কাজের জন্য তারা ওই মাদ্রাসার একজন শিশু ছাত্রকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ সন্ধ্যার পর স্বাধীন কে একাকী পেয়ে ওই মাদ্রাসা সংলগ্ন নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। বগুড়া সদর উপজেলার প্রবেশন অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ নূহ এর উপস্থিতিতে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হয়।
বিজ্ঞ আদালত ওই তিন জনের জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করে তাদেরকে যশোর সেফহোমে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন। হত্যাকান্ডে জড়িত সুমন ইসলাম শিবগঞ্জ থানা এলাকার তালপুকুরিয়া গ্রামের মোঃ আফজাল হোসেনের ছেলে, রুহুল আমিন একই থানা এলাকার মাটিয়ান গ্রামের মেহেদুল ইসলামের ছেলে এবং ওমর ফারুক একই থানা এলাকার বাহাদুরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
শিবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর স্বাধীন হত্যাকান্ডে তার পিতা শাহ আলম শেখ বাদী হয়ে গত ১৭ জানুয়ারি শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও থানা পুলিশ কোনো তথ্য উদঘাটন করতে না পারায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের আদেশে সিআইডি বগুড়া জেলা মামলার তদন্তভার অধিগ্রহণ করে তদন্তকারী অফিসার হিসাবে পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার ফুয়াদ রুহানি কে নিযুক্ত করেন। সিআইডি বগুড়া জেলার তদন্তকারী অফিসার গত ১৩ মার্চ মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্ত শুরু করেন।