কলেজছাত্রকে বিয়ে করা আলোচিত-সমালোচিত সেই সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার গলায় দাগ রয়েছে। নাটোর থানার ওসি মো. নাছিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আজ রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোরে বলারিপাড়া এলাকার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলার একটি ফ্লাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফেসবুকে প্রেম করে কলেজছাত্র মামুনকে বিয়ে করার পর ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা।
ওসি মো. নাছিম আহমেদ বলেন, ‘ধারণা করা হয়েছে খায়রুন নাহার বাসার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার গলায় দাগ রয়েছে। তার স্বামী মামুন হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
মো. রতন, সুজন আলীসহ এলাকাবাসী জানান, রবিবার ভোরে মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানান তার স্ত্রী খুবজিপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের মরদেহ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পান। তাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে পুলিশে খবর দেন।
খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার খামারনাচকৈড় মহল্লার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
এর আগে দুই ছেলের জননী খায়রুন নাহারের ডিভোর্স হয়েছিল আগের স্বামীর সঙ্গে। পরে ছয় মাস প্রেমের পর গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে মামুনকে বিয়ে করেন। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়।
খুবজীপুর মোজাম্মেল হক ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সাইদ বলেন, ‘খাইরুন নাহারের আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমরা মর্মাহত। তাকে নিয়ে সমাজের মানুষ নানা মন্তব্য করেছেন। ’
তবে হত্যা না আত্মহত্যা নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অসামঞ্জস্য প্রেম ঘটিত ছাত্র-শিক্ষিকার বিয়ে নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক পরিবেশন, সামাজিক ও পারিবারিক ভৎসনার কারণেই আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় সিআইডির বিশেষ টিম তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’