লাল নিশানা (বিপদ সংকেত) দেখিয়ে ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা আঞ্চলিক মহাসড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
এ ঘটনায় সবশেষ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) গৌরীপুর থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার মহাসড়কের গৌরীপুর উপজেলার বেলতলী এলাকা চাঁদাবাজি করার সময় যৌথবাহিনীর জালে ধরা পড়ে চক্রের তিন হোতা।
গ্রেপ্তাররা হলেন মো. আব্দুল জলিল, মো. মিজানুর রহমান এবং মো. ফজলুর রহমান।
তাছাড়া চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে একই মামলার অন্য আসামিরা হলেন, হাবিবুর রহমান সাজল (বুলেট), কামরুল মিয়া, পিয়াস উদ্দিন, নাঈম মিয়া, হৃদয় মিয়া ও কাদের, রাকিব মিয়া, আকাশ মিয়া।
মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মাযহারুল আনোয়ার। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরকেও গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। অপরাধে যারাই জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। চাঁদাবাজি বন্ধে মহাসড়কে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।
এদিকে মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই সড়কের বেলতলী বাজারের পশ্চিমে অটো রাইস মিলের একটি ট্রাককে লাল নিশানা (বিপদ সংকেত) দেখায়। এসময় কয়লা বোঝাই ট্রাকটি থামালে চালক মো. রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে দৃর্বৃত্তরা।
এ ঘটনার খরব পেয়ে কয়লা ব্যবসায়ী আবুল কাশেম ঘটনাস্থলে আসেন। পরে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হলে, অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী।
ভুক্তভোগী ট্রাক চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, একটি চক্র রাস্তায় লাল নিশানা উড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, বিপদ সংকেত মনে কেউ দাঁড়ালেই ওরা চাঁদা দাবি করে। না দিলে চালক আর হেলপারদের নামিয়ে মারধরও করা হয়।