লক্ষ্মীপুরে সিঁধ কেটে চুরির উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে (২৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে যুবলীগ নেতা সুমন মাঝিকে আটক করা হয়েছে। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তাকে আটক করা হয়।
রবিবার ভোরে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ গ্রামে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভুগী গৃহবধূকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুপুরে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ ও অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (সদর) মংনেথোয়াই মারমা হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভুগীর সঙ্গে কথা বলেন।
অভিযুক্ত সুমন তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও চরমটুয়া গ্রামের মৃত মন্তাজ মাঝির ছেলে। সে লক্ষ্মীপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের ভাই।
পুলিশ ও ভূক্তভোগী গৃহবধূ জানায়, প্রতিবন্ধি ভাই ও ছেলেকে নিয়ে রাতে ঘরে একা ছিলেন তিনি। ঘটনার সময় সিঁধ কেটে ৫ জন ঘরে ঢুকে। একপর্যায়ে ওই ৫ জন তাকে একা পেয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে আহত অবস্থায় গৃহবধূকে রেখে তারা পালিয়ে যায়৷
খবর পেয়ে ভোরেই সদর থানা টহল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত নাজিম, মো. হোসেন, ইউছুফ ও হারুনকে আটক করতে অভিযান চলছে।
যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বলেন, গৃহবধূদের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এজন্য পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার ভাই ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত নয়।
অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, প্রধান অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অন্যদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।