English

23 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
- Advertisement -

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী-ভাসুর আটক

- Advertisements -

লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে ফাতেমা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার স্বামী রাজুকে (২৫) ও ভাসুর বাবলুকে (২৭) বেঁধে রাখে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদনগর গ্রামের ভিকটিমের বাবার বাড়ি থেকে অভিযুক্ত দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।

এর আগে ভোরে ওই গ্রামের একটি পুকুরে ফাতেমার লাশ ভাসতে দেখা যায়।

Advertisements

ফাতেমা মোহাম্মদ নগর গ্রামের মৃত সাইফুল্লাহ মওলানার মেয়ে। তাদের সংসারে রুবি নামে চার বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

অভিযুক্ত রাজু ও বাবলু একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজের বাড়ির মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। রাজু পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক। তার আরও এক স্ত্রী রয়েছে। ফাতেমা তার প্রথম স্ত্রী।

ফাতেমার স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকে জন্য নির্যাতন করেই ফাতেমাকে হত্যা করা হয়ছে। পূর্বেও তাকে ব্যাপক নির্যাতন করা হত।

ফাতেমার বড় বোন রাবেয়া আক্তার বলেন, ৫ বছর আগে আমার বোনের সঙ্গে রাজুর বিয়ে হয়৷ বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার বোনকে জ্বালাতন করত। যৌতুক চাইত। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে জমি বিক্রি করে তাকে বিদেশ পাঠানো হয়। এক মাসের মাথায় চলে এসে আমার বোনকে নির্যাতন করে।

ফাতেমার বড় ভাই মো. আবদুল্লাহ বলেন, প্রায় ১৫ দিন থেকে আমার বোন ও তার স্বামী আমাদের বাড়িতে ছিল। সোমবার ভোরে ঘরের পাশের একটি পুকুরে আমার বোনের লাশ পাওয়া যায়। ঘরে তারা দুইজন ও তাদের মেয়ে ছিল। আমার বোনকে তার স্বামীই হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

Advertisements

তিনি বলেন, আমরা টাকা দিয়ে রাজুকে বিদেশ পাঠিয়েছিলাম। এরপরও আমার বোনকে শান্তিতে রাখেনি। কয়েক মাস আগে রাজু অন্যত্র বিয়ে করে। এনিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি আরও বেড়ে যায়।

স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য তাজ নাহার বেগম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই। ফাতেমাকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী রাজুকে বাড়ির লোকজন গাছের সঙ্গে বেধে রাখে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত রাজু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, রাতে আমরা একসঙ্গে ঘুমিয়েছিলাম। ভোর রাতে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ফাতেমা আর ঘরে আসেনি। কে বা কারা তাকে মেরেছে, আমি জানি না।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে থানায় নেওয়া হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন