পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীর বাঁ কানের একাংশ তাঁর স্বামী কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে চার বছরের সন্তানসহ স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ আজ সোমবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ওই গৃহবধূর নাম রাবেয়া খাতুন (২৭)। তাঁর স্বামী হলেন মো. মাহাবুব আলম (৩১)। তাঁদের সংসারে চার বছরের মো. বায়েজিদ নামের ছেলেসন্তান আছে। উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরদিয়ারা গ্রামে তাঁদের বাড়ি।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন অজুহাতে রাবেয়ার বাবা আবদুর রহিমের কাছে টাকা ও জমি দাবি করেন মাহাবুব আলম। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মাহাবুবের নামে ৬০ শতাংশ জমি দলিল করে দেন তিনি। এরপরও মেয়েজামাইয়ের মন ভরেনি। কিছুদিন ধরে ব্যবসার নামে মাহাবুব আবার দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছেন। আবদুর রহিম এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্ত্রী রাবেয়াকে শারীরিক নির্যাতন করেন মাহাবুব।
এ নিয়ে গত শনিবার সকালে সালিস বসে। সালিসে একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে যান মাহাবুব। তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন রাবেয়া, তাঁর বাবা ও ভাইয়ের ওপর হামলে পড়েন। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাবেয়ার কানের এক-তৃতীয়াংশ কেটে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাবেয়া ও তাঁর চার বছরের ছেলেসন্তানকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে রাবেয়া, তাঁর সন্তান, বাবা ও ভাইকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে মাহাবুব বলেন, যৌতুক দাবির কথা সত্য নয়। তবে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। মারধর করা হয়নি। রাবেয়া নিজের ইচ্ছায় চলে গেছেন।
বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।