রাঙ্গুনিয়ার জিল্লুর ভান্ডারী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. তোতা মিয়াকে ৭ বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাব। তোতা মিয়া রাঙ্গুনিয়ার বাইশ্যার ডেবা এলাকার আবু সালেহ ওরফে বইল্যার ছেলে।
রবিবার র্যাব-৭ এর সিপিসি-৩ চান্দগাঁও ক্যাম্পে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ জানান, জিল্লুর ভান্ডারী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তোতা মিয়া ঢাকা মহানগরীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়া এলাকায় অবস্থান করার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তোতা মিয়া পেশায় একজন চাঁন্দের গাড়ি চালক। হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে সে কারাগারে ছিল।
তিনি আরও জানান, জামিনে মুক্তি পেয়ে ঢাকার উত্তরা দশ নম্বর সেক্টর এলাকায় আত্মগোপন করে তোতা মিয়া এবং পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে। পালিয়ে থাকাকালীন সময়ে প্রথমে অটোরিকশা চালায়। পরবর্তীতে সে সিএনজি অটোরিকশা চালক হিসেবে কাজ করে এবং স্থায়ীভাবে সেখানে বসবাস শুরু করে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জিল্লুর ভান্ডারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা রেখে রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালত অভিযুক্ত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের একজন মো. তোতা মিয়া।