English

23 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

মেয়েদের ওড়না টানসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা করেনি সাইফুর

- Advertisements -

মেয়েদের ওড়না টানসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা করেনি ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত এম. সাইফুর রহমান। মারধর, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণ করার মামলার প্রধান আসামি এই সাইফুর। তার পিতা তোয়াইদুল্লাহ। সে বালাগঞ্জ কলেজের প্রাক্তন ছাত্র।
ঐ সময় থেকেই সাইফুর অনেকটা উশৃঙ্খল প্রকৃতির ছিল বলে স্থানীয়রা জানান। এমসি কলেজ ও ছাত্রাবাসে এমন কোনো অপকর্ম নেই যেখানে তার হাত ছিল না। ছাত্রাবাসে অবৈধ সিট দখল, সিট বাণিজ্য, খাবারের টাকা না দেওয়া, ক্রীড়া সামগ্রীর জিনিসপত্র বিক্রি করে দেওয়া, সাধারণ ছাত্রদের হয়রানি, মারধর, মিছিল মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করা ছিল তার নিত্য নৈমিত্তিক কাজ।
ছাত্রাবাসের পাশে বালুচর বাজারের ব্যবসায়ীরা তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ছিল। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে সে দলবল নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতো। বাকিতে খাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ভয়ে এতদিন চুপসে ছিলেন সেখানের ব্যবসায়ীরা। এখানেই শেষ নয়। সাইফুর টিলাগড় ও বালুচরের সেলুনগুলোতে চুল কেটে টাকা পরিশোধ করতো না।
এমসি কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আজহার উদ্দিন শিমুল তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাইফুর সম্পর্কে এমন তথ্য তুলে ধরে বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রীদের ইভটিজিং করা ছিল তার নেশা। তার ভয়ে কলেজের এক ছাত্রী দেড় বছর পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আসেনি। মেয়েদের ওড়নায় টান দেওয়া ছিল তার খুব সাধারণ একটি কাজ। তার কর্মকাণ্ড নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ বিব্রত থাকলেও দৃশ্যমান ব্যবস্থা কখনোই নেওয়া হয়নি। সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত বছর সে এক সাংবাদিককেও শাসিয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র জানান, ২০১৮ সালে তিনিসহ তার বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ভবনের সামনে। এ সময় সাইফুর এসে তাদের সঙ্গে থাকা মেয়ে বন্ধুটিকে উত্ত্যক্ত করে। প্রতিবাদ করলে সাইফুর সবাইকে বেধড়কভাবে প্যান্টের বেল্ট দিয়ে পেটায়। লজ্জা, আত্মসম্মান ও ক্ষমতাসীন সাইফুরের ভয়ে শিক্ষার্থীরা কাউকে এই বিষয়ে বলেননি। ঘটনা শুনে মেয়েটির অভিভাবক মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন।
ওই ছাত্র জানান, এভাবেই শত মায়ের, বাবার, ভাইয়ের, বোনের স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে সাইফুর। সে ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিতো। ছেলে মেয়েদের ধাক্কা দিতো। এসব বিষয়ে ‘বড় ভাইদের’ কাছেও অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার হয়নি। করোনার আগে সাইফুরের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাতো।
গতকাল রবিবার সকালে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে সাইফুর গ্রেফতার হয়। সে গ্রেফতার হওয়ায় অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন