রাজধানী মুগদায় মেয়েকে চুরির অপবাদ দিয়ে মা’কে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। বেদম মারধরের কারণে ওই মায়ের মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মানিক নগর প্রফেসর গলি পাবলিক টয়লেট সংলগ্ন একটি বাসায় মারামারির ঘটনায় তিনি আহত হন। পরে তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মৃত্যুবরণ করেন।
জানা গেছে, নিহতের নাম আয়েশা বেগম (৫৫)। তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেন।
এদিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি আজ বুধবার সকালে ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের মেয়ে রুমি আক্তার জানিয়েছেন, তার মা আয়েশা বেগম শাকসবজি বিক্রি করতেন। এর পাশাপাশি ফেরি করে এলাকায় মহিলাদের আন্ডার গার্মেন্টস বিক্রি করতেন।
রুমি বলেন, ‘মানিক নগর যে বাসায় ঘটনাটি ঘটে, ওই বাসায় মাঝে মধ্যে যেতাম। কারণ, তারা সুদের ব্যবসা করতেন। আমরা মাঝে মধ্যে টাকা নিতাম, আবার দিয়েও দিতাম। সম্প্রতি ওই বাসার লোকজন আমার বিরুদ্ধে চুরির অপবাদ দিয়ে আমার মা’কে ডেকে নিয়ে যান। মা প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করেন। পরে আমাকে সংবাদ দেন। আমি গিয়ে মা’কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাই। লোকজনের সহযোগিতায় তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।’
নিহতের মেয়ে রুমি আক্তার এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, নিহত আয়েশা বেগম কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার বুইড়ারচর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের মেয়ে ও শফিক মিয়ার স্ত্রী। তিনি দুই মেয়ের জননী ছিলেন। তিনি মুগদা দক্ষিণ মান্ডায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।