মাদারীপুরে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মৃধারমোড় এলাকায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
আহতদের মধ্যে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন সাইদ সরদারের ছেলে নিরব সরদার (২০), মঈন হাওলাদারের ছেলে মনির (২২) ও সোয়াব আলী সরদারের ছেলে আবু বকর (৪৬)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কালকিনির লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে মৌসুমী সুলতানা বিজয়ী হন। চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হন গেন্দু কাজী। এরই জেরে রাতে মৃধারমোড় এলাকায় গেন্দু কাজীর সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান মৌসুমী সুলতানার কর্মী ও সমথর্করা।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতাল ও শরিয়তপুর সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আবু বকরের স্ত্রী রোজিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী ভ্যান চালায়। এর থেকেই আমাদের সংসার চলে। আমরা কোনো দলাদলির মধ্যে নেই। রাতে আমার স্বামী ভ্যান নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। মাঝপথে তাকে আটকে ভ্যান রেখে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে তাকে একটি ঘরের মধ্যে তালা মেরে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতলে ভর্তি করে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মনিরুজ্জামান পাভেল বলেন, রাতে মারামারির পর বেশ কয়েকজন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। তাদের মধ্যে ৩ জনের মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
মাদারীপুরের কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইশতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।