সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. রবিউল শেখ (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ৯৯৯-এ কল করা হলে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রবিউল শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখা গ্রামের শেখ আব্দুল হকের ছেলে। অভিযোগ উঠেছে, কৌশলে স্ত্রীকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে প্রায় দুই মাস ধরে তিনি নিজ মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার মেয়ের মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত রবিউল শেখের স্ত্রী ময়না খাতুন জানান, মঙ্গলবার রাতে ঘুম ভাঙার পর তিনি পাশের ঘরে গিয়ে নিজ মেয়ের উপর পাশবিক নির্যাতনের বিষয়টি বুঝতে পারেন। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার স্বামীকে আটক করে।
ময়না খাতুনের অভিযোগ, অসুস্থতার সুযোগে অন্যান্য ওষুধের সাথে মিলিয়ে গত কয়েক মাস ধরে রাতে তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করে রাখা হতো। এ সময় তার স্বামী পাশের ঘরে থাকা স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ের গলায় ছুরি ধরে ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করতেন।
বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার নিজের সন্দেহের কথা জাননো সত্ত্বেও বার বার তা অস্বীকার করে আসছিলেন রবিউল শেখ। স্বামীকে ফেরাতে না পেরে বাধ্য হয়ে তিনি মঙ্গলবার রাতে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বিষয়টি পুলিশে জানান।
শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রবিউল শেখকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।