English

29 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০, ২০২৫
- Advertisement -

মধ্যরাতে যশোরে নিজ বাড়ির সামনে যুবককে গুলি করে হত্যা

- Advertisements -

যশোরে নিজ বাড়ির সামনে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুমন ওরফে ট্যাটু সুমনের গুলিতে মীর সাদী আহমেদ (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে শহরের রেলগেট পঙ্গু হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মীর সাদী আহমেদ শহরের রেলগেট এলাকার শওকত হোসেনের ছেলে। হামলাকারী ট্যাটু সুমন এবং নিহত সাদী আহমেদ দুজনই যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহবুব রহমান ম্যানসেলের ক্যাডার।টাকা ভাগাভাগি নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে মোটরসাইকেলে চাচাতো ভাই রাকিবের সঙ্গে বাড়িতে যাচ্ছিলেন সাদী। এদিকে তার বাড়ির সামনে আগে থেকে অপেক্ষায় ছিলেন দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী ট্যাটু সুমন ও মেহেদী। বাসার সামনে পৌঁছাতেই সাদীকে ছুরিকাঘাত করে তারা।

এ সময় সাদীর বাইকে থাকা রাকিব ট্যাটু সুমনকে জড়িয়ে ধরলে তারা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে এবং রাকিবকে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের ছোঁড়া গুলি সাদীর গলা ও বুকে বিদ্ধ হয়।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার করেন। ঢাকাতে নেওয়ার পথে রাত একটার দিকে সাদীর মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ বলছে, সাদী যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ত্রাস ম্যানসেলের প্রধান সহযোগী ও ম্যানেজার। তার নেতৃত্বে রেলগেট এলাকায় মাদক বিক্রি, চাঁদাবাজি, হাটবাজার ইজারার নিয়ন্ত্রণ করতেন সাদী। সাদীকে যারা হত্যা করেছে তারাও ম্যানসেলের সহযোগী। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন পর ম্যানসেল আত্মগোপনে চলে যায়।

ফলে রেলস্টেশন বাজার ও রেলগেট এলাকার চাঁদার টাকা ম্যানসেলকে দেওয়া বন্ধ করে দেয় সাদী। চাঁদার টাকা না পেয়ে ম্যানসেল তার আরেক সহযোগীদের দিয়ে সাদীকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।

এদিকে ঘটনার পর যশোর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

হাসপাতালে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, কারা কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেটা পুলিশ তদন্ত করছে। নিহত সাদী সন্ত্রাসী ও যাদের নাম আসছে তারাও সন্ত্রাসী।সবার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন