English

20 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

বাবা-ছেলের ধর্ষণে কিশোরী ‘অন্তঃসত্ত্বা’!

- Advertisements -

বরগুনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়ন ও দয়ালগাজীকালু দরবারে সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম (৫২)ও তার ছেলে আরিফের (২৬) বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর জানান, “আমার মেয়ের বাবা নেই, আমি তরকারি বিক্রি করে রোজগার করে খাই, কাজের প্রয়োজনে সারাক্ষণ বাইরে থাকতে হয়। আমার মেয়ে প্রায় সময়ই নুর ইসলামের ছোট মেয়ের সাথে তাদের বাসায় থাকে, আমার মেয়েকে দিয়ে তারা কাজও করায়, কিন্তু তারা যে আমার মেয়ের এতো বড় সর্বনাশ করবে কখনওই ভাবিনি, বুঝতে পারলে আমি মেয়েকে ওখানে যেতে দিতাম না।”

তিনি আরও জানান, “নুর ইসলাম আমার থেকেও বয়সে অনেক বড়, সে আমার ছোট মেয়েটার দিকে কুনজর দিতে পারে না। আমার মেয়ের এ অবস্থা যে করছে আমি তার কঠিন বিচার চাই।”

ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন,  “নুর ইসলামকে মুই খালু বোলাই, হ্যাগো ঘরে গেলে মোরে দোহানের সদয় আনতে দেতে আর হেরা খাইলে মোরেও খাওয়াইতে, তয় অনেক সময় খালু মোর দিগে ক্যামন হইরা যেন চাইতে,  মাঝে মাঝে মোর গায় আত (হাত) দেতে, এরপর হে কইতে তোরে মুই বিয়া হরমু, হেইলইগা মুই হের সব কতা হোনতাম। পরে একদিন হের পোয়া আরিফ ভাইয়ায় কয় তুই যা করছো তা কিন্তু আমি জানি, এখন আমার সাথে না করলে সবাইকে বলে দিব। হেইয়া কইয়া হে মোরে চাইপা ধরে এবং আরও দুইদিন মোর লগে এইয়া হরছে। এহন সবাই কয় মোর প্যাডে নাকি বাচ্চা অইছে কিন্তু মোর খালু মোরে বিয়া হরে না।”

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে বরগুনা থানার অফিসার-ইন-চার্জ বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি টিম পাঠিয়ে রবিবার রাত সাড়ে ১২টায় প্রথমে নুর ইসলামকে থানায় ধরে আনে এবং আধা ঘণ্টা পর তার ছেলে আরিফকেও ধরে আনা হয়।

এ বিষয়ে বরগুনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম তারিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন