চট্টগ্রামের পটিয়ায় নিজ সন্তানের গুলিতে জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা শামসুল আলম মাস্টারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৫০) নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে পটিয়া পৌরসদরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সবজারপাড়ার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক ছেলে মাইনুল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে। পুলিশের ধারণা, পিস্তলের গুলিতে জেসমিন আক্তার প্রাণ হারালেও উদ্ধারকৃত কার্তুজ পিস্তলের নয়। কার্তুজগুলো বৈধ কি না, তাও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
শামসুল আলম মাস্টার গত ১৩ জুলাই অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান। তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৯০ সালের পর দুই মেয়াদে পটিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শামসুল আলম মারা যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া নগদ টাকা ও ব্যাংক-ব্যালান্স নিয়ে মা জেসমিন আক্তারের সঙ্গে ছেলে মাইনুলের মনোমালিন্য চলছিল। শামসুল মাস্টারের দুই ছেলেমেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। অস্ট্রেলিয়ায় থাকা ছেলেমেয়েদের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাদের মা। এরমধ্যে বাবার রেখে যাওয়া ব্যাংক-ব্যালান্সের নমিনি পরিবর্তনের জন্য মাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন মাইনুল।
মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় জনতা ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকে যানন তিনি। ব্যাংক থেকে ঘরে ফিরে মায়ের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে মাকে অস্ত্র দিয়ে গুলি করেন। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) রেফার করেন।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জেসমিন আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ঘটনার পরপরই মাইনুল পালিয়ে গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে পিস্তলের গুলিতে জেসমিন আক্তার মারা গেছেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। আসামি গ্রেফতার হলে মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।