সেনা সদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে মাহিনকে (২৩) জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
আদালত সূত্র জানা গেছে, বর্তমান বরিশাল পুলিশ লাইনস এ কর্তব্যরত মাগুরা জেলার খালকুলপাড়া এলাকার বাসিন্দা কনস্টেবল মাহিনের বিরুদ্ধে সোমবার কোতোয়ালি মডেল থানায় ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ওই নারী পেশায় একজন গৃহিণী। তার স্বামী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। তিনি বরিশাল মহিলা কলেজে পড়ালেখার সুবাধে এক বান্ধবীর মাধ্যমে ২০১৫ সালে মাহিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে মাঝে মধ্যে আসামির সঙ্গে বাদীর কথাবার্তা হয়।
তিনি বরিশালে ছেলে-সন্তানসহ প্রায় ছয় মাস ধরে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করছে। বাদীর স্বামীর সঙ্গে তার পারিবারিক বিষয়ে মনোমালিন্য ও সাংসারিক ঝামেলা ছিল। সেই সুযোগে মাহিন বিগত দুই মাস ধরে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে বাদীর ভাড়াটিয়া বাসায় আসা-যাওয়া করে। পারিবারিক ঝামেলার কথা শুনে বাদীকে মাহিন ফুসলাতে থাকে। বাদীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে এবং চ্যাটিং করে।
গত ৫ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় কোতোয়ালি মডেল থানাধীন ১৫নং ওয়ার্ডস্থ নিউ সার্কুলার রোডস্থ বাদীর ভাড়া ফ্ল্যাটে গিয়ে বাদীকে ধর্ষণ করে। এরপর বিভিন্ন সময়ে সরলতার সুযোগ নিয়ে বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
সর্বশেষ ৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে পুনরায় ধর্ষণ করে। এ ধারাবাহিকতায় ১৯ ডিসেম্বর সাড়ে ১২টায় পূর্বের ন্যায় বাদীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে বাদী মাহিনকে বাধা দেয়। এই সময় ওই নারী চিৎকার দিলে পাশের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাহিনকে আটক করে পুলিশকে সংবাদ দেয়।
থানা পুলিশ তাকে আটক করে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম।
আসামি আর বাদীকে এক করে দিন