বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত সেলিমকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর বাড্ডা থানার খালপাড় হাজীপাড়া রোড এলাকার একটি গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তার সহযোগী পলাতক। পুলিশ তার নাম জানায়নি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ধর্ষণের পর শিশুটিকে ছেড়ে দিলে সে হেঁটে হেঁটে শিয়া মসজিদ এলাকায় গেলে বড় বোনের সঙ্গে তার দেখা হয়। এসময় বোন তাকে দ্রুত শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুর অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে পাঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ জানায়, মামলার পর ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে একটি সন্দেহজনক সিএনজি চিহ্নিত করা হয়।
এছাড়া ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী ঢাকা উদ্যান, নবোদয় হাউজিং, শিয়া মসজিদ, তাজমহল রোড, ইকবাল রোড এলাকার ২৩টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শনাক্ত করা হয় সিএনজির নম্বর। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনাক্ত করা হয় সিএনজিচালকের অবস্থান। এরপর অভিযান চালিয়ে সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, সেলিমের সহযোগী পলাতক রয়েছেন। তার বিস্তারিত নাম-পরিচয় পেয়েছি। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।