বগুড়ায় বিষাক্ত মদ পানে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতারকৃত চারজনকে ২ দিনের করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য মতে জেলা শহরের নাটাইপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ১৫’শ লিটার রেক্টিফাইট স্পিরিটসহ বিপুল পরিমানে হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরীর সরঞ্জাম জব্দ করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ।
এর আগে বুধবার দিন ব্যাপি পারুল হোমিও, পুনম হোমিও ল্যাবরেটরিজ, খান হোমিও হল ও মুন হোমিও হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পারুল হোমিও ল্যাবরেটরিজ থেকে ২৪ লিটার ও অন্যান্য হোমিও হল থেকে আরো ২ লিটার রেক্টিফাইট স্পিরিট উদ্ধার করে। একই দিনে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত শহরের গালপট্টিতে মুন ও মাহি হোমিও হলে অভিযান চালিয়ে মেয়াদউর্ত্তীণ ওষুধ ও লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।
বগুড়ায় গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিষাক্ত মদ পানে জেলা শহরের পুরান বগুড়া, তিনমাথা, ছিলিমপুর, ফুলবাড়ি, কালিতলা, কাটনারপাড়াসহ জেলার শাজাহানপুর উপজেলা, কাহালু উপজেলা মিলিয়ে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও জেলা পুলিশ বিভাগ থেকে ৮জনের কথা সাংবাদিকদের জানানো হয়। পরে লাশগুলোর ময়ন্ত তদন্তের ব্যবস্থা করে থানা পুলিশ।
বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, অভিযানে ১৫’শ লিটার রেক্টিফাইট স্পিরিটসহ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। তাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।
মঙ্গলবার রাতে বগুড়া সদর থানা পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে বিষাক্ত মদ বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করে বগুড়া জেলা শহরেরে করতোয়া হোমিও হলের স্বত্বাধিকারী ও নাটাপাড়ার বাসিন্দা শহিদুল আলম সবুর (৫৫), শহরের ফুলবাড়ি মধ্যপাড়ার পারুল হোমিও ল্যাবরেটরিজের স্বত্বাধিকারী মো: নুরুন্নবী (৫৮), শহরের গালাপট্টির মুন হোমিও হলের স্বত্বাধিকারী ও জেলা শহরের ছোটকুমিড়ার বাসিন্দা আব্দুল খালেক (৫৫), গালাপট্টি এলাকার হাসান হোমিও হলের কর্মচারী ও জেলা শহরের আকাশতারা এলাকার বাসিন্দা আবু জুয়েল (৩৫)। গ্রেফতারের পর তাদেরকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।