বগুড়ার সদরের খায়রুল ইসলাম (অরফে) সুমন (৩০) নামের এক প্রাইভেট কার চালককে দুর্বৃত্ত কর্তৃক নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্ব) দিবাগত রাত প্রায় পৌনে ১১টায় বগুড়ার শহরতলীর কানছগাড়ী এলাকায়।
ঘটনার পরপরই নিহতের বন্ধু চয়নকে পুলিশ জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আটক করেছে। নিহত খায়রুল ইসলাম (অরফে) সুমনের বাড়ি রংপুর সিটিকর্পোরেশন এলাকার সাতগাড়া মিস্ত্রীপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র।
নিহত সুমন বগুড়ার সাবগ্রাম এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। পেশা হিসেবে তাঁর নিজের একটি প্রাইভেট কার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া খাটতেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নিহতের প্রাইভেট কার ও তাঁর বন্ধু চয়নকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক পৌনে ১১টায় নিহত খাইরুল ইসলাম সুমন তাঁর প্রাইভেট কারটি শেরপুর- সাতমাথা রোডের কানছগাড়ী সন্নিকটে দাড় করেন। এসময় ২ যুবক এসে খায়রুল ইসলাম সুমনের কথা বলেন। সুমন তখন গাড়ী থেকে নামলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন। একপর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে সুমন দৌঁড়ে পাশেই উপশম ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের ফার্মেসিতে প্রবেশ করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ধাওয়া করে ফার্মেসির ভিতরে ঢুকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
এসময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আটককৃত যুবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এবং হত্যাকারীদের দ্রুত আটক করতে পুলিশ মাঠে নেমে অভিযান চালাচ্ছে।