বগুড়ার শেরপুরে বাবাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে ছেলে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক ছেলে মো. মামুনুর রশিদ ওরফে মামুনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার (১৩ডিসেম্বর) ভোররাতে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের কয়েরখালী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রবিবার (১২ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মতিউর রহমান (৬০) নামের ওই বৃদ্ধ।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের কয়েরখালী স্বরোগ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। সে শনিবার (১১ডিসেম্বর) বিকেলে বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে পাঁচ কেজি চাল চুরি করে স্থানীয় একটি মাজারে অনুষ্ঠিত ওরসে দান করেন। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে চাল নিয়ে যাওয়ায় ছেলে মামুনকে শাসন করেন বাবা মতিউর রহমান। একপর্যায়ে রবিবার ভোররাতে বৃদ্ধ বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে ছেলে মামুন। সেইসঙ্গে চালগুলো আনার জন্য বাবাকে তার সঙ্গে যেতে বলেন। এরপর বাবা-ছেলে একসঙ্গে রওনা হন।
পরবর্তীতে গ্রামের মাঠের মধ্যে পৌঁছানমাত্র ছেলে মামুন তার কাছে থাকা রামদা দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে রক্তাক্ত করেন। পরে তার চিৎকারে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে। ঢাকায় নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বৃদ্ধ মতিউর রহমান।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘাতক ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে একটু বাগ-বিতণ্ডা হয়। এরপরই কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বৃদ্ধ বাবাকে হত্যা করে সে। ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছেলে মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে। উক্ত ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।