গোলাম রব্বানী শিপন, মহাস্থান (বগুড়া): বগুড়ার শিবগঞ্জের রায়নগরে শ্বশুড়কে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ঘাতক জামাই মতিয়ার রহমান পলাতক রয়েছে। নিহতের নাম আব্দুস সাত্তার রহমান (৬০)।
নিহত আব্দুস সাত্তার রহমান সে রায়নগর ইউনিয়নের সেকেন্দ্রাবাদ কানজেহাড়ি গ্রামের মৃত শরব উল্লাহ’র পুত্র।
নিহতের পারবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ বছর আগে একই এলাকার পার্শ্ববর্তী শব্দলদিঘী গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিন এর পুত্র মতিয়ার রহমানের সাথে আব্দুস ছাত্তার রহমানের মেয়ে শান্তনার পারিবারিক সমন্বয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে বেশ কয়েক দফা সালিসি বৈঠক হয়েছে।
গত ১ বছর আগে মতিয়ার বেপরোয়া হয়ে শ্বশুড় বাড়ির পরিবারের সকলকে মারপিটও করেছে। শুধু মারপিট করেই ক্ষান্ত হয়নি। পরে মতিয়ার স্ত্রী শান্তনাকে ডিভোর্স দেন। কিছুদিন পর মতিয়ার স্ত্রী শান্তনাকে নিয়ে পুনরায় ঘর সংসার করার অঙ্গীকার দিয়ে আবারও বিয়ে করেন। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ীর লোকজনকে অগ্নিশর্মা জামাই মতিয়ার তার বাড়ী আসতে নিষেধ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ ডিসেম্বর মেয়ে শান্তনা অসুস্থতার খবর পেয়ে বাবা ছাত্তার তাকে দেখতে যান। রাত ৮টার দিকে মেয়েকে দেখে নিজ বাড়ী ফির ছিলেন বৃদ্ধ সাত্তার। এরপর জামাই মতিয়ার বাড়ী এসে শুনতে পারেন তার শ্বশুর এই মুহূর্তে মেয়েকে দেখে চলে গেলেন। তড়িৎ জামাই মতিয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে শব্দলদিঘী পুকুর পাড় নামক স্থানে এসে পিছন থেকে শ্বশুড়কে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন।
এসময় শ্বশুর আব্দুস ছাত্তার মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে মারপিট করে ফেলে চলে যায় ঘাতক মতিয়ার। স্থানীয় এলাকাবাসী ছাত্তারের গোঙানি শুনে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
সেখানে টানা ৮দিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে বৃহস্পতিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। এঘটনার পর থেকেই ঘাতক জামাই মতিয়ার পলাতক রয়েছে।
এবিষয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্সপেক্টর জিল্লুর রহমান বলেন, নিহতের পুত্র মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।